লালমনিরহাট জেলা ১২৪৭ বর্গ কি.মি. আয়তনের তিস্তা, ধরলা ও রত্নাই নদী বিধৌত বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তবর্তী একটি জেলা। ভৌগলিক কারণেই এ জেলা অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছিল। এ অঞ্চলের মাটি অনেকটা বালি মিশ্রিত ক্ষারীয় প্রকৃতির। তারপরেও এ জেলায় ধান, পাট, ভুট্টাসহ নানা রকম শাক সবজি উৎপন্ন হয় কিন্তু এতেও অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছলতা অর্জন সম্ভব হয় নি। মূলতঃ নব্বইয়ের দশক থেকেই এ জেলায় ভুট্টা চাষ শুরু করা হয়। সময়ের পরিক্রমায় এ জেলায় কৃষিজ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কৃষিতে এক বিপ্লবের সূচনা হয়েছে। বর্তমানের এখানে উৎপাদিত শস্যের মধ্যে ভুট্টা অন্যতম। ভূট্টা চাষের ফলে এখানকার সাধারণ মানুষের জীবনমান অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ভুট্টা বিক্রি করে মানুষের হাতে নগদ অর্থ সঞ্চালিত হচ্ছে। তারা তাদের ব্যক্তিগত কার্যক্রমের পাশাপাশি জাতীয় উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। ভুট্টা চাষে শ্রম ও অর্থ ব্যয় কম কিন্তু প্রাপ্তি অনেক বেশী। সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় লালমনিরহাট জেলা ব্রান্ডিং এর জন্য ভুট্টার বিকল্প নেই।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সময় ও প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে পরিকল্পনাকে সাধারনত নিম্নোক্ত তিনভাগে ভাগ করা হয়েছেঃ
কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নঃ
ক্রমিক নং |
কার্যক্রম |
সময়সীমা |
০১. |
বাস্তবায়ন তদারকী ও পরিবীক্ষণ |
সেপ্টেম্বর ২০১৮ |
০২. |
অগ্রগতি মূল্যায়ন ও পরিকল্পনা সংশোধন |
আগস্ট ২০১৮ |
০৩. |
ব্রান্ড বুক প্রণয়ন |
মার্চ ২০১৮ |
০৪. |
জেলা ব্রান্ডিং মেলার আয়োজন |
মার্চ ২০১৮ |
০৫. |
উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করা |
মার্চ ২০১৮ |
০৬. |
প্রচার সংক্রান্ত উপকরণ প্রস্তুত (পোস্টার, লিপলেট, বুকলেট) |
মার্চ ২০১৮ |
০৭. |
জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ |
ফেব্রুয়ারি ২০১৮ |
০৮. |
জেলা ওয়েব পোর্টাল ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার |
ফেব্রুয়ারি ২০১৮ |
০৯. |
জেলা বাতায়নে ব্রান্ডিং |
ফেব্রুয়ারি ২০১৮ |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস